বাংলাদেশ থেকে জার্মান ভিজিট ভিসা কিভাবে করবেন তার বিস্তারিত ।

জার্মানি ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ভ্রমণ গন্তব্যগুলোর একটি (স্পেনের পরই)।

জার্মানি আসলেই চোখ ধাঁধানো এক দেশ। জার্মানির সংস্কৃতি, ইতিহাস এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপার ভান্ডার।

যে কারনে ফেডারেল স্ট্যাটিস্টিক্যাল অফিসের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে জার্মানিতে ভিজিটরের সংখ্যা আগের বছরের একই মাসের তুলনায় ২.৭% বৃদ্ধি পেয়ে ৪৪.৩ মিলিয়নে পৌঁছেছে।

How can I Get a German visa from Bangladesh?

আপনি যদি এই অসাধারণ দেশে ভ্রমণের কথা চিন্তা করে থাকেন, তাহলে এই জার্মান ভিসা ভিজিট ভিসা প্রসেস গাইডলাইনটি আপনার জন্য খুবই হেল্পফুল হবে বলে আশা রাখি।

বাংলাদেশ থেকে জার্মান ভিজিট ভিসা কিভাবে করবেন তার বিস্তারিত ।

জার্মানি ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ভ্রমণ গন্তব্যগুলোর একটি (স্পেনের পরই)।

জার্মানি আসলেই চোখ ধাঁধানো এক দেশ। জার্মানির সংস্কৃতি, ইতিহাস এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপার ভান্ডার।

যে কারনে ফেডারেল স্ট্যাটিস্টিক্যাল অফিসের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে জার্মানিতে ভিজিটরের সংখ্যা আগের বছরের একই মাসের তুলনায় ২.৭% বৃদ্ধি পেয়ে ৪৪.৩ মিলিয়নে পৌঁছেছে

আপনি যদি এই অসাধারণ দেশে ভ্রমণের কথা চিন্তা করে থাকেন, তাহলে এই জার্মান ভিসা ভিজিট ভিসা প্রসেস গাইডলাইনটি আপনার জন্য খুবই হেল্পফুল হবে বলে আশা রাখি।

জার্মানি কি এখন বাংলাদেশিদের জন্য ট্যুরিস্ট ভিসা ইস্যু করছে?

হ্যাঁ! জার্মানি নিয়মিতভাবে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য শেঞ্জেন ট্যুরিস্ট/ভিজিট ভিসা ইস্যু করছে।

জার্মানি শেঞ্জেন অঞ্চলের সদস্য রাষ্ট্র হওয়ায়, ভ্রমনের উদ্দেশ্যে জার্মানিতে যাওয়ার জন্য শেঞ্জেন ভিসা প্রয়োজন হয়। জার্মানি ভিজিট ভিসা একটি স্বল্পমেয়াদি ভিসা, যার মেয়াদ সর্বোচ্চ ৯০ দিন পর্যন্ত হয়ে থাকে।

গত কয়েক বছরে অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাওয়া কঠিন হওয়ার কারণে জার্মান ভিসা পাওয়া কিছুটা জটিল ছিল।

তবে, সম্প্রতি একটি বড় পরিবর্তন এসেছে। জার্মান দূতাবাস আর সরাসরি শেঞ্জেন ট্যুরিস্ট ভিসা প্রসেস করে না। এপ্রিল ২০২৩ থেকে স্বল্পমেয়াদি জার্মান ভিসার জন্য তারা ভিএফএস গ্লোবাল সেন্টার নিয়োগ করেছে। যা গত ২ মে ২০২৩ থেকে কার্যকর হয়েছে।

এর মানে, এখন দূতাবাস থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেতে কয়েক মাস অপেক্ষা করার প্রয়োজন নেই। যেহেতু কাগজপত্র নেয়া ও প্রসেস করার বিষয়গুলো ভিএফএস গ্লোবাল পরিচালনা করছে, তাই আগের চেয়ে আরও দ্রুত কাগজপত্র গ্রহণ করে প্রসেস করতে পারছে। এমনকি ভিএফএস অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছাড়াই এই কাজটি সম্পন্ন করছে।

জার্মান শেঞ্জেন ভিজিট ভিসা যে ক্যাটাগরির জন্য দিয়ে থাকে তা নিচে দেয়া হল।

✦ ট্রেডফেয়ার
✦ ভ্রমণ
✦ ট্রানজিট
✦ চিকিৎসা

বাংলাদেশ থেকে জার্মান ভিজিট ভিসা করার পুরো প্রসেস স্টেপ বাই স্টেপ নিচে দেয়া হল

শেঞ্জেন কান্ট্রি গুলার মধ্যে যদি জার্মানি আপনার মূল ভ্রমণ গন্তব্য হয়, তাহলে নিচের গাইড লাইন অনুযায়ি আপনি আপনার ভিসা প্রসেস করতে পারেন।

আগে জার্মান দূতাবাস সকল ক্যাটাগরির ভিসা প্রসেস করত। কিন্তু এখন স্বল্পমেয়াদি শেঞ্জেন ভিজিট ভিসার আবেদন প্রক্রিয়াটি বাংলাদেশের জন্য ফেডারেল ফরেন মিনিস্ট্রি ইন বার্লিন ভিএফএস গ্লোবালের কাছে আউটসোর্স করেছে। বাংলাদেশ থেকে জার্মান ট্যুরিস্ট ভিসা পাওয়ার ধাপে ধাপে প্রক্রিয়া দেখে নেওয়া যাক।

ধাপ ১: শেঞ্জেন ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় সব ডকুমেন্ট সংগ্রহ করুন

প্রথমে, জার্মান দূতাবাস ঢাকা থেকে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস লিস্ট জেনে নিন। একটি প্রাথমিক তালিকা নিচে দেওয়া হলো:

  • নির্ভুলভাবে শেঞ্জেন ভিসার আবেদন ফর্ম পূরণ করা এবং সই করা
  • পূরণ করা এবং সই করা ডিক্লারেশন অফ কনসেন্ট
  • পাসপোর্টের মেয়াদ ন্যূনতম তিন মাস মেয়াদ থাকা + পূর্ববর্তী পাসপোর্ট
  • ১টি সাম্প্রতিক তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি (৩৫x৪৫ মিমি)
  • ট্রাভেল ইসন্সুরেন্স
  • ভ্রমনের অ্যাকোমোডেসন ডিটেইলস (হোটেল বুকিং)
  • ফ্লাইট রিজার্ভেশন বা ভ্রমণ পরিকল্পনা
  • ভ্রমণের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে ব্যক্তিগত কভার লেটার
  • পুরো ভ্রমণের নির্ধারিত পরিকল্পনার রূপরেখা (ট্রাভেল আইটেনারি)
  • কমপক্ষে গত ৬ মাসের সেভিংস ব্যাংক স্টেটমেন্টের মূল কপি

ধাপ ২: অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করুন

পরবর্তী ধাপে, ভিএফএস ওয়েবসাইট থেকে আপনার পছন্দের স্লটে একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করুন।

ধাপ ৩: ভিসা আবেদন কেন্দ্র গিয়ে ডকুমেন্ট জমা দিন এবং বায়োমেট্রিক দিন

নির্ধারিত দিনে, আপনার নিকটস্থ ভিএফএস সেন্টারে উপস্থিত হন এবং প্রয়োজনীয় সব ডকুমেন্ট সঙ্গে নিন। ভিএফএস এর কর্মী আপনার ডকুমেন্টগুলো যাচাই করবেন এবং প্রতি আবেদনপত্রের জন্য ভিএফএস ফি €১৫.০০ পরিশোধ করতে হবে।

ভিএফএস এ আপনার বায়োমেট্রিক তথ্য ও অন্যান্য রেকর্ড নেবে, যেমন:

  • আঙ্গুলের ছাপ
  • বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট ছবির স্ক্যান

ধাপ ৪: ভিএফএস গ্লোবাল আপনার আবেদন জার্মান দূতাবাসে প্রেরণ করবে

আবেদনপত্র এবং পাসপোর্ট জমা দেওয়ার পর, ভিএফএস এগুলো জার্মান দূতাবাসে প্রেরণ করবে। ভিসা অনুমোদনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জার্মান দূতাবাসই নেবে।

ধাপ ৫: পাসপোর্ট সংগ্রহ করুন

যখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, দূতাবাস একটি সিল করা খামে আপনার পাসপোর্ট ফিরিয়ে দেবে, ভিসা হোক বা না হোক। আপনাকে ভিসা আবেদন কেন্দ্র থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে হবে।

ভিসা পেয়েছেন কিনা তা তাৎক্ষণিকভাবে যাচাই করুন এবং কিছু ঠিক করার প্রয়োজন হলে কর্মকর্তাকে জানান। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত:

  • পাসপোর্ট নম্বর
  • এন্ট্রির সংখ্যা
  • ভিসার মেয়াদ
  • ভিসায় উল্লেখিত শর্তাবলী

Leave a Reply